পাপ মোচনের আমল

মানুষের ইচ্ছা-অনিচ্ছায় গুনাহ হয়ে থাকে। গুনাহ হয়ে গেলে— ক্ষমা পাওয়ার জন্য অস্থির হয়ে ওঠে। কীভাবে আল্লাহর পক্ষ থেকে ক্ষমা লাভ করবে— তা ভেবে দিনকাল পার করেন। ক্ষমা লাভের যথাসাধ্য মাধ্যমগুলো অবলম্বন করেন।

কথা হলো— কোনো পাপ হয়ে গেলে মুমিনের করণীয় কী? আল্লাহ তাআলা বাতলে দিয়েছেন সেই পথ। পাপ হয়ে গেছে? তো তিনি তাওবা করতে বলেছেন। নেক আমলের মাধ্যমে মন্দ কাজটি মুছে দিতে বলেছেন।

পবিত্র কোরআনে তিনি বলেন, ‘তুমি সালাত কায়েম কর দিবসের দুই প্রান্তভাগে এবং রজনীর প্রথমাংশে। অবশ্যই নেক আমল পাপসমূহ মিটিয়ে দেয়। যারা উপদেশ গ্রহণ করে, এ তাদের জন্য এক উপদেশ।’ (সুরা হুদ, আয়াত : ১১৪)
গুনাহ মাফে নেক আমলে গুরুত্ব দিন

উপরোল্লিখিত আয়াত থেকে বোঝা যায়, নেক আমলের প্রতি যত্নবান হওয়া চাই। কোনো পাপ হয়ে গেলে, সঙ্গে সঙ্গে তাওবা করা উচিত। নেক আমলের মাধ্যমে পাপ মিটিয়ে ফেলা আবশ্যক।

আল্লাহর রাসুল (সা.) তার প্রিয় সাহাবি আবু জর (রা.)-কে একবার এ উপদেশই দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘হে আবু জর! যেখানেই থাক আল্লাহকে ভয় কর এবং কোনো পাপ হয়ে গেলেই নেক আমল করো; তা তোমার পাপ মিটিয়ে দেবে।’ (তিরমিজি, হাদিস : ১৯৮৭)

পাপে মোচনের সর্বোত্তম পদ্ধতি

গুনাহ মাফের জন্য অনেক আমল রয়েছে। আমলগুলো করলে আল্লাহ তাআলা ক্ষমা করেন।
তবে যেসব আমলের মাধ্যমে পাপ মিটে যায়— তার মধ্যে শীর্ষে হলো নামাজ। উপরোল্লেখিত আয়াতে সেদিকে ইশারা রয়েছে।

আর পাপ হয়ে গেলে— আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়ার সর্বোত্তম পদ্ধতিও হলো নামাজ। নামাজের মাধ্যমে ক্ষমা চাইলে আল্লাহ দ্রুত মাফ করেন। আবু বকর (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি আল্লাহর রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছেন, ‘কারো কোনো পাপ হয়ে গেলে— সে যদি উত্তমরূপে অজু করে এবং দুই রাকাত নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে মাফ চায়; আল্লাহ তাকে মাফ করে দেন।’ (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ০২)
এছাড়াও হাদিস শরিফে নামাযের মাধ্যমে পাপ মোচন হওয়ার অনেক বর্ণনা এসেছে।